রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে যেসব খাবার

একবার যারা ধূমপানে আসক্ত হয়েছেন, তারা অনেকেই  এই বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলেই পারেন না। আপনি যদি ধূমপায়ী হোন তবে নিম্নোক্ত  খাবারগুরো খেলে ধূমপান আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান ধূমপানের কুঅভ্যাস ছাড়াতে দারুন কাজে আসে। যেমন ধরুন…

১. আদা
সিগারেট ছাড়ার পর প্রথম যে লক্ষণটা দেখা দেয়, তা হল মাথা ঘোরা। এই ধরনের লক্ষণের প্রকোপ কমাতে আদা দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, সিগারেটের কারণে শরীরের অন্দরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সারাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই সিগারেট খেতে ইচ্ছা করবে এক টুকরো আদা মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন ফল মিলবে।

২. ওটস
ধূমপান ছাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ কাপ গরম পানি মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে আরেকবার পানিটা ফুটিয়ে নিয়ে ব্রেকফাস্টের পর পান করতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করলে শরীরে উপস্থিত নিকোটিন এবং বাকি সব টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে।

৩. পানি
এক্ষেত্রে পানি ব্যাপক উপকারে লাগে। তাই তো সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেই পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলে ধূমপানের ইচ্ছা যেমন কমে, তেমনি শরীরে উপস্থিত নিকোটিন বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কমে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও।



৪. গোলমরিচ
এক গ্লাস পানিতে অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানি পান করলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পানিতে গুলে যদি গোলমরিচ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে খাবারে দিয়েও খেতে পারেন। একই উপকার মিলবে।

৫. মুলো
যে যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ধূমপান ছাড়াতে দারুন কাজে আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল মুলো। একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত মুলোর রসে অল্প করে মধু মিশিয়ে পান করলে স্মোকিং-এর ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে ২ বার এই পানীয়টি গ্রহণ করতে হবে। তবেই উপকার মিলবে।

৬. আঙুরের রস
এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যাসিডিক এলিমেন্ট শরীর থেকে নিকোটিনকে বের করে দেয়। ফলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো যারা ধূমপান ছাড়তে চান, তাদের প্রতিদিন এক গ্লাস করে আঙুরের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।



৭. মধু
ধূমপান ছাড়ার পর যে যে লক্ষণগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তা কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। আসলে মধুতে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।