বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

চায়ে চুমুক দেওয়ার আগে জানুন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু চা পান। এরপরে সারাদিন একাধিকবার অনেকেই চা পান করেন। চা পান করা শরীরের পক্ষে উপকারী না ক্ষতিকারক, তা নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা আছে। একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রেখা চন্দ্রাকর জানিয়েছেন, চা পান করার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। তা হলেই চা পানের উপকারিতা পাওয়া যাবে। চায়ের পুষ্টিগুণগুলি শরীরে যাবে। আর চা পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।




• চায়ের পাতা, দুধ এবং চিনি একসঙ্গে ফুটিয়ে চা বানাবেন না। প্রথমে জল ফোটান, তার পরে চা পাতা মেশান। সবার শেষে দুধ মেশান।

• চায়ের জল একবার ফোটালেই যথেষ্ট। তিন মিনিটের বেশি চা ফোটালে জলের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। চায়ের স্বাদও খারাপ হয়।

• সবসময়ে ফুটন্ত জলেই চা পাতা ঢালুন। এর ফলে চায়ের রং এবং ফ্লেভার, দুই সঠিক থাকবে।

• বানানোর পরে আধ ঘণ্টা হয়ে গেলে আর সেই চা পান করবেন না। এর থেকে বদহজম হতে পারে।

• একবার যে চা পাতা ব্যবহার করে চা বানানো হয়েছে, তা দিয়ে আর চা বানাবেন না। এতে পেটের সমস্যা হতে পারে।

• খাওয়ার পরে চা পান করবেন না। চায়ের মধ্যে ফেনোলিক কম্পাউন্ড থাকে। এই যৌগটি শরীরের আয়রন গ্রহণক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।



• ওষুধ খাওয়ার পর পরই চা পান করবেন না। চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করে।

• সকালে খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই কিছু খেয়ে তার পরেই চায়ে চুমুক দিন।

Read More »

রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে যেসব খাবার

একবার যারা ধূমপানে আসক্ত হয়েছেন, তারা অনেকেই  এই বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলেই পারেন না। আপনি যদি ধূমপায়ী হোন তবে নিম্নোক্ত  খাবারগুরো খেলে ধূমপান আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান ধূমপানের কুঅভ্যাস ছাড়াতে দারুন কাজে আসে। যেমন ধরুন…

১. আদা
সিগারেট ছাড়ার পর প্রথম যে লক্ষণটা দেখা দেয়, তা হল মাথা ঘোরা। এই ধরনের লক্ষণের প্রকোপ কমাতে আদা দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, সিগারেটের কারণে শরীরের অন্দরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সারাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই সিগারেট খেতে ইচ্ছা করবে এক টুকরো আদা মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন ফল মিলবে।

২. ওটস
ধূমপান ছাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ কাপ গরম পানি মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে আরেকবার পানিটা ফুটিয়ে নিয়ে ব্রেকফাস্টের পর পান করতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করলে শরীরে উপস্থিত নিকোটিন এবং বাকি সব টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে।

৩. পানি
এক্ষেত্রে পানি ব্যাপক উপকারে লাগে। তাই তো সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেই পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলে ধূমপানের ইচ্ছা যেমন কমে, তেমনি শরীরে উপস্থিত নিকোটিন বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কমে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও।



৪. গোলমরিচ
এক গ্লাস পানিতে অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানি পান করলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পানিতে গুলে যদি গোলমরিচ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে খাবারে দিয়েও খেতে পারেন। একই উপকার মিলবে।

৫. মুলো
যে যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ধূমপান ছাড়াতে দারুন কাজে আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল মুলো। একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত মুলোর রসে অল্প করে মধু মিশিয়ে পান করলে স্মোকিং-এর ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে ২ বার এই পানীয়টি গ্রহণ করতে হবে। তবেই উপকার মিলবে।

৬. আঙুরের রস
এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যাসিডিক এলিমেন্ট শরীর থেকে নিকোটিনকে বের করে দেয়। ফলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো যারা ধূমপান ছাড়তে চান, তাদের প্রতিদিন এক গ্লাস করে আঙুরের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।



৭. মধু
ধূমপান ছাড়ার পর যে যে লক্ষণগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তা কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। আসলে মধুতে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read More »

সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭

আপনার স্বপ্নভঙ্গ করছে যে ৫ বদভ্যাস

১. গড়িমসি করা জীবনে কী হতে চান? শিল্পী, নাকি খেলোয়াড়? অনেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে বছরের পর বছর পার করেন। আবার বেছে নিলেও করণীয় নির্ধারণে গড়িমসি করেন। কিন্তু এ ধরনের স্বভাব থাকলে আপনি কোনো দিনই সফল হতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গন্তব্যের দিকে চোখ মেলে না তাকানো খুবই মারাত্মক।
২. দোষ চাপানো আপনার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। এটা কর্মীদের দোষ, তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু আপনি বরাবরই তাদের দোষ খুঁজে বেড়ান। এমন স্বভাব থাকলে আপনি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন না। ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেও নিতে হবে। অন্যের কাঁধে দোষ চাপানো বড় রকমের বদভ্যাস।


৩. পরচর্চা উর্বর মস্তিষ্ক নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আলোচনা করে। গড়সংখ্যক মস্তিষ্ক চলমান ঘটনা নিয়ে কথা বলতেই ব্যস্ত থাকে। আর সংকীর্ণ মানসিকতা অন্য মানুষকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর থাকে। কাজেই অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রাণশক্তি খরচ করবেন না। বরং নিজের জীবনের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের চেষ্টা করুন।
৪. অজুহাত তৈরি করা জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি হলো, ব্যর্থতা মেনে নেওয়া। সফলরা অকপটে এই কাজটি করে থাকেন। কারণ ব্যর্থতার মাঝেই বাস্তব শিক্ষা মেলে। আর সেই শিক্ষাই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মানুষকে দূরদর্শী করে তোলে। যারা ব্যর্থতা মানতে নারাজ, তারা অজুহাত সৃষ্টিতে ওস্তাদ।
৫. নেতিবাচক আচরণ ফুটিয়ে তোলা আপনার আসল পরিচয়টা এমনিতেই নানাভাবে ফুটে উঠবে। বদভ্যাসের অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ মানুষের মনে কেবল বাজে ধারণাই সৃষ্টি করবে। কাজেই নিজের সম্পর্কে কিছু বলা বা প্রকাশের ক্ষেত্রে সাবধান হয়ে যান। নইলে সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। আর এর প্রভাব পড়বে আপনার ভবিষ্যতে।
Read More »

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

বাথরুমের ৬ বদঅভ্যাস যেভাবে অসুস্থ করে ফেলছে আপনাকে

বাথরুম ব্যবহারে অনেকেরই কিছু বদঅভ্যাস আছে যা করা একদম উচিত নয়। অনেকে এই কাজগুলো অভ্যাসবশত করে আবার অনেকে অজ্ঞতাবশত করে থাকে। এই অভ্যাসগুলোর কারণে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন ভয়ংকর কোন রোগে। আপাতদৃষ্টিতে বাথরুমকে পরিষ্কার মনে হলেও এর ভিতর কিছু জীবাণু থেকে যায়। আমাদের কিছু কাজে এই জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করে থাকে।

১। বাথরুমে মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মার্কেটিং এজেন্সি ১১মার্ক এক জরিপে দেখেছে যে, শতকরা ৭৫ আমেরিকান বাথরুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি ৩০% পুরুষ এবং ২০% মহিলা মোবাইল ছাড়া বাথরুমে প্রবেশ করেন না! আপনি যখন আপনার ফোন বাথরুমের বেসিন বা ওয়াশ কাউন্টারে রাখেন তখন আপনার অজান্তে কিছু শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া আপনার ফোনে চলে যায়। আর এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে আপনার হতে পারে নানা রোগ ব্যাধি। হাত ভাল করে ধুলেও ফোনের দিকে নজর দেই না। যদি কখনও ফোন বাথরুমে নিয়ে গেলেও ডিসইনফেকটিভ লোশন দিয়ে ফোন পরিষ্কার করে নিবেন।


২। ফ্লাশ করার সময় কমোডে ঢাকা না দেওয়া
এই কাজটি আমরা প্রায় সবাই করে থাকি। যখন আমরা কমোডে ফ্ল্যাশ করি তখন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দানা বাতাসে মিশে যায়। আর এই ক্ষুদ দানার সাথে মিশে থাকে নানা ব্যাকটেরিয়া। টয়েলেট সিট থেকে প্রায় ৬ ফুট উঁচু উচ্চতায় পৌঁছতে পারে এই সব জলকণা। এবং এইগুলো দীর্ঘসময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তাই কমোড ফ্ল্যাশ করার সময়ে ঢাকনা লাগিয়ে রাখা উচিত।

৩। টুথব্রাশ রাখা

টুথব্রাশ সাধারণত সবাই বাথরুমে রাখে। দাঁত মাজার পর বাথরুমে টুথব্রাশ রেখে দিলে তা সহজে শুকনো হতে চায় না। আর এই ভেজা ভেজা পরিবেশেই সংক্রমণ জাতীয় ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্ম নেয়। পরে ব্রাশ থেকে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মুখে প্রবেশ করে ফেলে। তাই বাথরুমে টুথব্রাশ না রেখে বাইরে কোন স্থানে টুথব্রাশ রাখা ভাল।

৪। মেকআপ সামগ্রী বাথরুমে রাখা

মেকআপ সামগ্রী বাথরুমে রাখা বা নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তা যত ছোট মেকআপ সামগ্রী হোক না কেন। কারণ মূলত বেসিনের কাউন্টারে আপনি মেকআপ সামগ্রী রেখে থাকেন। ফলে সেখানকার ব্যাকটেরিয়া আপনার মেকআপ সামগ্রীতে চলে যায়। এরপর আপনি যখন তা ত্বকে ব্যবহার করেন, তখন ত্বকের রোমকূপ দিয়ে এই  ব্যাকটেরিয়াগুলো শরীরের মধ্যে ঢুকে আপনাকে অসুস্থ করে দেয়।

৫। লুফা ব্যবহার

লুফা বা গা পরিষ্কার করার ছোবা ব্যবহার করা হয় প্রায় সব বাড়িতে। কিন্তু লুফা ব্যবহার করার পর তা বাথরুমে রাখা উচিত নয়। ভেজা লুফায় প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া জন্ম গ্রহণ করে। তাই ব্যবহারের পর রোদে শুকিয়ে তারপর আবার বাথরুমে রাখুন। এতে লুফায় থাকা জীবাণু গুলো ধ্বংস হয়ে যায়।

৬। তোয়ালে রাখা

বাথরুমের কমোড, মেঝে পরিষ্কার করা হলেও দেওয়াল পরিষ্কার করা হয় না। দেওয়ালে থাকা অসংখ্য জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া বাথরুমে টাঙ্গিয়ে রাখা তোয়ালেতে চলে আসে। যখন আমরা তোয়ালে ব্যবহার করি, তখন তা আমাদের শরীরে চলে আসে। তাই বাথরুমে তোয়ালে না রাখাই নিরাপদ।
বাথরুমের এই অভ্যাসগুলো আপনাকে অসুস্থ করে দেওয়ার জন্য দায়ী। আজই ত্যাগ করুন অস্বাস্থ্যকর এই অভ্যাসগুলো।

Read More »

সোমবার, ১৫ মে, ২০১৭

গান শোনার সেরা পদ্ধতি

গান চাঙা করে মানুষের মনকে। এখন গান শোনার যন্ত্র হিসেবে স্মার্টফোন আর হেডফোন মানুষের হাতের নাগালে। কিন্তু গান কীভাবে শোনা উচিত? গান শুনলে মন ভালো হয়, মস্তিষ্কে প্রশান্তি আসে। কিন্তু এই গান শোনার জন্য ভালো হেডফোন বা যন্ত্রের চেয়ে বেশি দরকার মানসিক প্রস্তুতি।
আধুনিক জীবনের কর্মব্যস্ততা আর মনোযোগ নষ্ট হওয়ার কারণে অনেকের গান শোনার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তাই গান শোনার আগে মানসিক প্রস্তুতি নিন। আধঘণ্টা আগে কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখুন। এ ক্ষেত্রে নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন হলে ভালো। আধঘণ্টা চুপচাপ থেকে বা শব্দ থেকে দূরে থেকে তারপর ধীরে ধীরে গান শুনলে মনে আসে প্রশান্তি।


গান শোনার সেরা পদ্ধতি হচ্ছে—আগে নিস্তব্ধতাকে উপভোগ করুন। কান আর মস্তিষ্ককে একটু বিশ্রাম দিয়ে স্তব্ধতাকে উপলব্ধি করতে দিন। এভাবে আধঘণ্টা পার করুন। এরপর দেখবেন মন্দ লাগছে না, গান শুনতে।
গান শুনে আপনি আনন্দিত হয়ে উঠতে পারেন। মেজাজ ফুরেফুরে লাগতে পারে। নাচতে ইচ্ছা হতে পারে কিংবা বাঁধ ভেঙে কান্নাও আসতে পারে। মন খারাপের সময় প্রিয় গান শুনলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হয়তো আপনার ভালো লাগা শুরু হয়ে যেতে পারে। গান শোনার সঙ্গে মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা।
অবশ্য শ্রবণশক্তি ঠিকঠাক রাখতে হলে দিনে এক ঘণ্টার বেশি যন্ত্রে গান বাজিয়ে না শোনারই পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উচ্চ শব্দে, বেশি বেশি গান শুনে দুনিয়ার প্রায় ১১০ কোটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী ইতিমধ্যেই কানের বারোটা বাজানোর ঝুঁকিতে আছে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। নানা ধরনের অডিও প্লেয়ার, কনসার্ট এবং ক্লাব-বারগুলোকে অল্প বয়সী ব্যক্তিদের শ্রবণশক্তির জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। দুনিয়াজুড়ে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪ কোটি ৩০ লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী ইতিমধ্যেই শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ধনী এবং মধ্য-আয়ের দেশগুলোর ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের প্রায় অর্ধেকই নিজেদের ব্যবহার করা নানা অডিও ডিভাইসের কারণে শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত হন। এ ছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশই ক্লাবে-বারে উচ্চশব্দে বাজানো গান শোনা এবং লাইভ কনসার্টগুলোতে উপস্থিতির কারণে এ সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সমস্যা দিন দিন বাড়ছে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। উদাহরণ হিসেবে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে শ্রবণশক্তির সমস্যায় আক্রান্তের হার ১৯৯৪ সালে ৩ দশমিক ৫ থাকলেও ২০০৬ সালে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৩ হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘরেবাইরে যেখানেই হোক, গান শোনার সময় শব্দের মাত্রা কমিয়ে রাখাটা জরুরি। আর অনেকে চার-পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টাও এমপি-থ্রি প্লেয়ারে গান শোনে, কিন্তু শব্দের মাত্রা বেশি অবস্থায় দিনে এক ঘণ্টাও কানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত অডিও ডিভাইসের ব্যবহার দিনে এক ঘণ্টার চেয়ে কমিয়ে আনা এ সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকর হতে পারে।
গান শোনা প্রসঙ্গে চিকিৎসকেরা বলেন, গান শুনলে রাগ কমে। মন শিথিল করা কোনো সংগীত শুনুন। প্রিয় শিল্পীর গান শুনলে মনের রাগ চলে যায়। মেজাজ ভালো হয়ে ওঠে। উচ্চাঙ্গসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, জ্যাজ বা যার যেমন পছন্দ, তেমন গান শুনতে পারেন। এতে শান্ত হয় মন।
Read More »

শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭

নখ কামড়াচ্ছেন? অজান্তেই যে সব ক্ষতি হচ্ছে আপনার

ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক অনেকেরই নখ কামড়ানোর স্বভাব রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন, ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর একটি বড় জায়গা হলো নখ?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ ব্যাকটেরিয়া নখের মধ্যে বসবাস করে। আর আমরা যখন এই নখকে মুখের ভেতর প্রবেশ করাই, কামড়াতে থাকি, তখন সেগুলো শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে।’ বোল্ডস্কাইয়ে জানানো হয়েছে নখ কামড়ানোর ক্ষতিকর দিকগুলোর কথা।


 গবেষণায় বলা হয়, ৭৬ শতাংশ লোকের ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা হয় নখ কামড়ানোর কারণে। এটি নখ কামড়ানোর একটি বড় ক্ষতিকর দিক।
 নখ কামড়ালে দাঁতের ক্ষতি হয়, এতে দাঁতের সমস্যা হয়, চোয়ালের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া নখ কামড়ালে মাড়িতে রোগ হয়। মাড়ি ফোলার সমস্যা হতে পারে এই বদঅভ্যাস থেকে। তাই আপনি নখ কমাড়ানোর অভ্যাসটি বাদ না দিলে সমস্যায় পড়তে পারেন।
 আপনি কি জানেন, মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো নখ কামড়ানো? কীভাবে? মুখে দুর্গন্ধ হয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে। আর নখ কামড়ালে নখের ভেতর থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো মুখে প্রবেশ করে।
 দীর্ঘদিন ধরে কামড়ালে একপর্যায়ে নখ তার বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। এতে নখ কুৎসিত হয়ে যায়। স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়।

Read More »

মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

খুশকি দূর করার সঠিক উপায়

সময়ের অভাব বা অচেতনতা যে কারণেই হোক, ছেলেরা রূপচর্চার দিকে খুব একটা নজর দেন না। যার ফলে খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন অধিকাংশ পুরুষই। সঠিক যত্নের অভাবে পুরোপুরি খুশকি দূর করা সম্ভব হয় না সবসময়। কর্মব্যস্ত দিনের মাঝেই খানিকটা সময় করে যত্ন নিতে হবে চুল ও স্ক্যাল্পের। তবেই খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন দেখে নেয়া যাক খুশকি দূর করার সঠিক উপায়-
এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিয়ে ভালোভাবে মেশান (বোতলে নিয়ে ঝাকিয়ে মেশাতে পারেন।) শ্যাম্পু করার আগে বা শ্যাম্পুর সাথে মিশ্রণটি মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে চুল শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।


একটি কাপে এক কাপ পরিমাপ গরম পানিতে এক কাপ হোয়াইট ভিনেগার নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এবার এই মিশ্রণ নিয়ে চুলের গোঁড়ায় সুন্দর করে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুশকি কমে আসবে।
পরিমাণ মতো নিমপাতা ও গরম পানি নিন। তারপর পানিতে নিমপাতা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই পানি দিয়ে আপনার মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে খুশকি কমে যাবে।
পরিমাণমতো অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর শুধু পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর আরো ১৫ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। মাসে দুইবার ব্যবহার করুন।
মাথার ত্বকে পরিমাণ মতো লেবুর রস নিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ৫ থেকে ৭ মিনিট রাখুন। এরপর ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ কাপ পানি মিশিয়ে সেটা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। যতদিন খুশকি পুরোপুরি না যায় ততদিন এভাবে ব্যবহার করুন।

Read More »

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

কোথা থেকে এল ফ্রেঞ্চফ্রাই? এটি মূলত কোন দেশি খাবার?

এ প্রশ্ন আদৌ কোনো প্রশ্ন কি না, তা নিয়েই হয়তো আপত্তি তুলবেন অনেকে। ফ্রেঞ্চফ্রাই আবার কোন দেশের, অবশ্যই ফ্রান্সের—তাই তো বলবেন অনেকে! তবে নামে ফ্রেঞ্চ হলেও জাতে যদি এই মচমচে খাবারটিকে মোটেও ফরাসি ভাবার ভুলটি করবেন না! স্কুপহুপে জানা গেল, ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের উৎপত্তি বেলজিয়ামে!
এর পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, অনেক আমেরিকান সৈন্য বেলজিয়াম সৈন্যদের মুখ থেকে ফরাসি শুনে দ্বিধান্বিত হয়ে যেত। সে কারণেই তাদের ‘ফ্রাই’ খাবারটির নাম হয়ে গিয়েছিল ফ্রেঞ্চফ্রাই!


আমরা ফ্রেঞ্চফ্রাই আর আলু ভাজা, যাই বলি না কেন—খাবারটি কিন্তু সবারই ভীষণ পছন্দের। আড্ডায় বা একান্ত অবসরে যেকোনো খাবারের সঙ্গে কিংবা আলাদাভাবে এক বাটি ফ্রেঞ্চফ্রাই হলে আর কিছুই তো লাগে না। কাজেই নামে কী বা আর আসে যায়!
মজার বিষয়, ‘ফ্রেঞ্চ’ টাইটেলযুক্ত আরো বেশ কয়েকটি বিষয়-আশয় রয়েছে, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে মোটেও ফ্রেঞ্চ নয়! যেমন ‘ফ্রেঞ্চটোস্ট’ হচ্ছে রোমানিয়ার খাবার, ‘ফ্রেঞ্চহর্ন’-এর উৎপত্তি জার্মানিতে, ‘ফ্রেঞ্চবিন’ একেবারেই মেক্সিকান!
Read More »